0 মাত্র দুটি টিপস্ : মন ভালো করার জন্য যথেষ্ঠ


মনকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রন করা এক কথায় অসম্ভব (নবী, রাসুল, মুনি, ঋষি, ধ্যানে অভিজ্ঞদের ব্যপারে বলতে পারব না, যেহেতু আমি ঐ রকম মহামানব নই)। মনকে স্বৈরাচারী শাসকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তার যখন যেটা ইচ্ছে করে সেটা না পাওয়া পর্যন্ত শরীরবৃত্তীও প্রক্রিয়ার উপর তো আছেই সাথে নিজের উপরও অত্যাচার চালায়। যাক বকবকানি বন্ধ করে আসল কথায় আসা যাক। আমাদের কমবেশী সবারই মন খারাপ হয়। মন খারাপের প্রভাব নেতিবাচক। এই মন খারাপ থাকার কারনে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পরে। মন ভালো করার জন্য নিচের পদ্ধতিদ্বয় আপনার কাজে লাগতে পারে।

পদ্ধতি : এক
১. পেট ফুলিয়ে শ্বাস গ্রহন করুন। মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে দম ছাড়ুন। প্রক্রিয়াটি ৫ বার পুনরাবৃত্তি করুন।
২. চোখ বন্ধ করে অতীতে চলে যান। অতীতের কোন আনন্দদায়ক ঘটনা মনে করার চেষ্ঠা করুন। হতে পারে সেটি আপনার পরিবারের সাথে বা বন্ধুদের সাথে বা সহকর্মীদের সাথে। মনে করার চেষ্ঠা করুন ঘটনাটি। সেসময়ের আনন্দটুকু নিংড়ে আপনার সমস্ত দেহে মেখে নিন।
৩. আনন্দঘন মুহুর্তটিতে যারা যারা আপনার সাথে ছিলেন, তাদের সবার থেকে বিদায় নিয়ে চোখ খুলুন, মন কি এখনও খারাপ?

পদ্ধতি : দুই
১. শৈশব কাল থেকে এ পর্যন্ত ঠিক কতজন বন্ধু বান্ধবীর সাথে আপনি লেখাপড়া/চলাফেরা/মেলামেশা করেছেন তা মনে করার চেষ্ঠা করুন।
২. তাদের মধ্য থেকে যাদের সাথে বর্তমানে নিয়মিত যোগাযোগ হয় এবং যারা আপনার জীবন থেকে সম্পূর্ন হারিয়ে গেছে তাদের বাদ দিয়ে যাদের সাথে অনেকদিন যোগাযোগ নেই তাদের একটা লিস্ট তৈরী করুন।
৩. এবার আগামীকাল/আগামী সপ্তাহে/আগামী মাসে লিস্টের মধ্য থেকে যেকোন এক জনের সাথে দেখা করবেন ঠিক করুন। ভাবুন এতদিন পর সে আপনাকে দেখে কেমন অবাক হবে? তাকে কিভাবে সারপ্রাইজ দিবেন সেটা ঠিক করে ফেলুন এখনই। দুই বন্ধু মিলে কোথায় ঘুরতে যাবেন সেটার একটা ছক তৈরী করে ফেলুন। কি কি খাবেন সেটারও একটা লিস্ট তো চাই ই চাই। নিশ্চয়ই চমৎকার ভাবে সময় কাটবে আপনাদের তখন? ওহ্ এরকম সময় যদি প্রতিদিন আসত?

এগুলো ভাবতে ভাবতেই অনেক্ষন কেটে যাবে আপনার। সব প্ল্যান যখন শেষ হবে তখন লক্ষ্য করবেন আপনার মন আর খারাপ নেই। আর হ্যা, বন্ধুর সাথে দেখা করার প্ল্যান কিন্তু বানচাল করবেন না যেন।

0 মন্তব্য:

Post a Comment